Share this

“প্রযুক্তির সহায়তায় সমন্বিতভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে কার্যক্রম বাড়ানো হবে” - জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

১৫.০২.২০২৪

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রযুক্তির সহায়তায় সমন্বিতভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে। ২০২৪-২৫ সারের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন করা হবে। আরও ১০০টি কূপ খননের কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে। গ্যাসের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। চাহিদার সাথে সরবরাহের সমন্বয়  করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা হবে।

 

“প্রযুক্তির সহায়তায় সমন্বিতভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে কার্যক্রম বাড়ানো হবে” - জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ  প্রতিমন্ত্রী

 


প্রতিমন্ত্রী, আজ ঢাকা, পেট্রোবাংলায় "Gas Demand-Supply Scenario; Scope of Seismic Survey & Enhancement of Drilling Activities To Expedite Hydrocarbon Production" শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পরিকল্পনা সাজাবো। ২০২৯-৩০ সনের দিকে গ্যাসের চাহিদা হতে পারে ৬৬৫৫ এমএমসিএফডি। অন্যদিকে নিজস্ব খনিতে মজুদ কমে যাচ্ছে। বিকল্প জ্বালানির চিন্তাও আমাদের করতে হচ্ছে। প্রতিটি কাজের টাইম লাইন থাকা বাঞ্ছনীয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমালোচনা না করে কীভাবে সরবরাহ বাড়ানো যায়-তার সুষ্পষ্ট প্রস্তাবনা প্রয়োজন। দেশিয় গ্যাস আমদানিকৃত এলএনজির সাথে মিশিয়ে  মিশ্রিত গ্যাসের প্রতি কিউবিক মিটার ক্রয় মূল্য ২৪.৮০ টাকা এবং গড়ে বিক্রয় করা হয় প্রতি কিউবিক মিটার ২১.৪১ টাকা। এই ঘাটতি সুষম উন্নয়ন ব্যহত করতে পারে। তা ছাড়াও বিদ্যুৎতে চাহিদা মতো গ্যাস দিতে পারলে ভর্তুকী প্রায় ৭০ ভাগ কমে যাবে।  


মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আনোয়ার ইসলাম ও পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক মেহেরূর হাসান ।

 

“প্রযুক্তির সহায়তায় সমন্বিতভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে কার্যক্রম বাড়ানো হবে” - জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ  প্রতিমন্ত্রী

 


পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো: নূরুল আলম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, অধ্যাপক ড. এ এসএম ওবায়দুল্লাহ, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হুসেন মো. সায়েম, অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন, বুয়েট-এর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক ড. মো. ইজাজ হোসেন। এ ছাড়া পেট্রোবাংলার দপ্তর সমূহের বর্তমান ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।