Share this

“কৃষি সেচের জন্য জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে” - জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

১০.১২.২০২৩

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কৃষি সেচের জন্য জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যুৎ বা জ্বালানি তেলের জন্য কৃষিকাজের ব্যাঘাত ঘটানো যাবেনা। যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জ্বালনি তেল সংশ্লিষ্ট জেলায় চাহিদা মতো পৌছানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর ২০২৩ হতে মে ২০২৪) জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে একটি আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিদ্যুতের চাহিদার সাথে সমন্বয় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা মোতাবেক প্রাকৃতিক গ্যাস ও ফার্নেস ওয়েল সরবরাহের আগাম উদ্যোগ নিতে হবে।

 

২০২২-২৩ অর্থবছরে পেট্রোলিয়াম পণ্যের মধ্যে ৬৭.১৯% ডিজেল, ১১.৯৯% ফার্নেস ওয়েল, ৬.৪২% জেডএ-১, ৬.১৯% পেট্রোল ও ৫.৩৬% অকটেন ব্যবহৃত হয়। একই অর্থ বছরে জ্বালানি তেলের ৫৮% পরিবহণে, ১৮% বিদ্যুতে, ১৫% কৃষিতে, ৬% শিল্পে, ১% গৃহস্থালিতে এবং অন্যান্য খাত ২% ব্যবহার করা হয়।

 

২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) ১৯,২৯,৭৩৮ মেট্রিকটন ডিজেল ব্যবহৃত হয়েছে। ডিজেল বাফার স্টক, তেল সরবরাহের জন্য ট্যাংক-ওয়াগন বা রেল র‍্যাক নিশ্চিতকরণ, নৌপথের নাব্যতা সংরক্ষণ, তেল পাচার রোধ ও নৌঘাট সংক্রান্ত রাস্তার সংস্কার, সীমান্তে তেল পাচার রোধ, জ্বালানি স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণসহ, মনিটরিং ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 

কৃষিসেচ মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকগণের নিকট সঠিক সময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বর্ধিত পরিমাণ ডিজেল সরবরাহকার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করার জন্য ০১.১২.২০২৩ তারিখ থেকে বিপিসি’র চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে “কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল” খোলা হয়েছে। সেচ মৌসুম উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডিজেলের (প্রধান স্থাপনা+ইআরএল) মজুদ সার্বক্ষণিকভাবে ১,৫০,০০০ মে.টন সংরক্ষণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ২০২৩-২৪ সালের কৃষিসেচ মৌসুমে ডিজেল ১২,৫০,৩৫৫ মেট্রিকটন ও লুব অয়েল ৪৪,১২৩ মেট্রিকটন প্রাক্কলিত চাহিদা রয়েছে।

 

ভার্চুয়াল আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো: নূরুল আলম, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মো: মাহবুবুর রহমান, আরইবি’র চেয়ারম্যান মোহাং সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনন্দ্র নাথ সরকার, জননিরাপত্তা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।