১০.১২.২০২৩
সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ১০ নং অনুসন্ধান কূপে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘন্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া গিয়েছে। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুদ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তেলের মজুদ প্রায় ৮-১০ মিলিয়ন ব্যারেল যার মূল্য ৫৬ টাকা/লিটার হিসেবে ৭,০০০ কোটি টাকা। গ্যাস অনুসন্ধানকালে ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় একটি জোন পাওয়া যায় যেখানে ৮-১২-২৩ তারিখে টেস্ট করে তেলের উপস্থিতি জানা যায় যার প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি।
সিলেট-১০নং কূপে ২৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে ৪টি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নীচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায় এবং ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। মজুদের পরিমান ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট। ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরো একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ২৫৪০ এবং ২৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে প্রায় ৮-১০ বছর সাসটেইন করবে। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের অধিক সাসটেইন করবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আজ সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে বলেছেন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান কাজ অব্যাহত থাকবে। মাল্টিক্লাইন সার্ভের প্রাথমিক ডাটা পাওয়া গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিডিং রাউন্ডে যাবে। তিনি বলেন, জুন ২০২২ থেকে এ পর্যন্ত কয়েকটি কূপে মোট ১০৫ এমএমসিএফডি গ্যাস পাওয়া গেছে। ৪৬টি কূপে সন্ধান করা হবে। যা থেকে ৬১৮ এমএমসিএফডি গ্যাস পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে।
