Share this

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপলক্ষে এর মোড়ক উন্মোচন

০২.১৬.২০২০

দুই দিন ব্যাপী (১৫-১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ শনিবার ও রবিবার) আরইবি’র “মুজিববর্ষেই আরইবি’র শতভাগ বিদ্যুতায়ন” এবং “মুজিববর্ষ পল্লী বিদ্যুতের সেবা বর্ষ” এ অঙ্গীকারে জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনের ১ম দিন বিজ্বাখস মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ,এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী দেশের শতভাগ জনগণকে মুজিববর্ষেই বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জনগণের বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিতকরণে তিনি মুজিববর্ষকে বিদ্যুতের সেবা বর্ষ হিসেবে পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। শতভাগ জনগণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিতকরণে জিএম সম্মেলনে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

 

এছাড়াও দুই দিন ব্যাপী এ সম্মেলনে পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক, জনাব মোহাম্মদ হোসাইন বক্তব্য রাখেন। আরইবি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) সম্মেলনে মুজিববর্ষকে সেবা বর্ষ পালনের লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উপর কারিগরী, আর্থিক ও ব্যবস্থাপনাগত বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার/জেনারেল ম্যানেজারগণসহ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 

উক্ত সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়; যার সারসংক্ষেপ নিম্নরুপঃ

০১। জুন’২০২০ মাসের মধ্যে দেশব্যাপী গ্রীডভুক্ত এলাকার ৪৬১ টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন;

০২। অফগ্রীড এলাকার ১০৮৩টি গ্রাম ডিসেম্বর’২০২০ এর মধ্যে আরইবি ও সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করা;

০৩। “মুজিববর্ষ” ব্যাপী ৮০টি পবিসে “আলোর ফেরিওয়ালা” পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে “ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” তথা শতভাগ উপজেলা বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা;

০৪। “মুজিববর্ষে” সমগ্র দেশব্যাপী ২ লক্ষ ৫০ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা;

০৫। “মুজিববর্ষ-পল্লী বিদ্যুতের সেবা বর্ষ” হিসেবে প্রতিপালনের লক্ষ্যে “আলোর ফেরিওয়ালা”, “উঠান বৈঠক” এবং “গণশুনানী” কর্মসূচীর প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা;

০৬। ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ বিনির্মাণে ৮০টি পবিস এর জন্য ৮০টি মডেল গ্রাম ইতোমধ্যে নির্বাচন করা হয়েছে যেখানে নাগরিক সুবিধাসহ শিল্পায়ন; কৃষি বিপ্লব ও Digital Bangladesh বিনির্মাণের লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা;

০৭। ১০৭টি অফ-গ্রীডভূক্ত গ্রামে নবায়নযোগ্য জ্বালানি/সোলার সিস্টেম/গ্রীড বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করা;

০৮। পরিবেশ বান্ধব ২০০০ সোলার সেচ পাম্প স্থাপন;

০৯। মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করা;

১০। মুজিবর্ষেই ‘Digital Bangladesh’ বিনির্মাণে ‘পেপারলেস অফিস’ চালু করা।

 

এছাড়াও মুজিববর্ষকে বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপনের স্বার্থে ৮০টি পবিস ও আরইবি’র সদর দপ্তরে দৃষ্টিনন্দন মুজিবকর্ণারে দুর্লভ ভিডিও চিত্র, স্থির চিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি “মুজিববর্ষ” সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে আরইবি এবং ৮০টি পবিসে ‘ডে কেয়ার’ সেন্টার চালু করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর উদ্যোগে ১৯৭২ সালের রচিত মহান সংবিধানের ১৬ নং অনুচ্ছেদের মাধ্যমে গ্রামীণ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাপবিবোর্ডের গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৮৩ লক্ষ। বর্তমানে বাপবিবোর্ডের বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার কিলোমিটার এবং দেশের প্রায় ৯৬ ভাগ জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী। ইতোমধ্যে ৪৬১টি উপজেলার মধ্যে ৪১০টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ৫১টি উপজেলায় মুজিববর্ষেই শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।